কৈশোরবান্ধব নড়াইল জেলা

“সুস্থ-সবল কিশোর-কিশোরী, এসো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি”

নোটিশ বোর্ডঃ

নড়াইল জেলায় বর্তমানে কিশোর-কিশোরীর (১০-১৯ বছর) সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ যা মোট জনসংখ্যার ২২.৫%। জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশের শারীরিক ও মানসিক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং তারা প্রজননক্ষম হয়। কৈশোরকালীন এই সময়ে তাদের বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের এই সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরী। তাই পরিবর্তনের এই সময়টিই কোমলমতি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতেনতা তৈরির সঠিক সময়। সেজন্য তাদের মাঝে সচেতেনতা ও মূল্যবোধ তৈরি এবং সুচিকিৎসা দেয়ার এই কার্যক্রমটি গ্রহণ করা হয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। “কৈশোরবান্ধব নড়াইল জেলা” প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং কর্মক্ষম একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিতে সক্ষম হবে।

আমাদের উদ্দেশ্য

নড়াইল জেলায় বর্তমানে কিশোর-কিশোরীর (১০-১৯ বছর) সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ যা মোট জনসংখ্যার ২২.৫%। জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশের শারীরিক ও মানসিক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং তারা প্রজননক্ষম হয়। কৈশোরকালীন এই সময়ে তাদের বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের এই সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরী। তাই পরিবর্তনের এই সময়টিই কোমলমতি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতেনতা তৈরির সঠিক সময়। সেজন্য তাদের মাঝে সচেতেনতা ও মূল্যবোধ তৈরি এবং সুচিকিৎসা দেয়ার এই কার্যক্রমটি গ্রহণ করা হয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। “কৈশোরবান্ধব নড়াইল জেলা” প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং কর্মক্ষম একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিতে সক্ষম হবে।

আমাদের কার্যক্রম

“কৈশোরবান্ধব নড়াইল জেলা” একটি প্রকল্প যেখানে মূলত সিভিল সার্জন মহোদয়ের নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি এবং কর্মক্ষম একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাস্তবায়ন করা। 

মূল কার্যক্রমসমূহ

অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

ফলাফল ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব

সেবামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা

জনাব মোঃ আসফাকুল হক চৌধুরী

সহযোগিতায়

জনাব মোঃ আশফাকুল হক চৌধুরী

ডাঃ সাজেদা বেগম (পলিন)

উদ্ভাবন ও পরিকল্পনায়

ডাঃ সাজেদা বেগম (পলিন)

জনাব মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

জনাব মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

ডাঃ মোঃ আসিফ আকবর

ডাঃ মোঃ আসিফ আকবর

মেডিকেল অফিসার

ডাঃ শুভাশিস বিশ্বাস

ডাঃ শুভাশিস বিশ্বাস

মেডিকেল অফিসার

বাস্তবায়নে- স্বাস্থ্য বিভাগ,নড়াইল

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

উদ্যোগটির আওতায় আমরা প্রাথমিকভাবে নড়াইল জেলার কিশোর-কিশোরীদের মাঝে নিরন্তর সেবা, শিক্ষা ও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চাই এবং উদ্যোগটিকে আমরা সরকারের সহযোগিতায় সমগ্র দেশব্যাপী ‘কৈশোরবান্ধব বাংলাদেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে কাঠামো বদ্ধভাবে এই শিক্ষাগুলো প্রদান করা হোক এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং কৈশোরকালীন অন্যান্য সেবা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। সর্বোপরি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সাহায্য করা আমাদের পরিকল্পনা।

প্রয়োজনীয় তথ্য

কর্মপরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়িত হলে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিবে। ফলে পরিবার, সমাজ তথা দেশ উপকৃত হবে। Bangladesh National Strategy for Adolescent Health (2017-2030) এ বয়ঃসন্ধিকালে (১০-১৯ বছর) পরিচর্যার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে পরিচর্যা করলে সেটা হবে বিনিয়গ। কারণ এই বিনিয়োগের ফলে SDG (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) এর Goal 3 (সবার জন্য সুস্বাস্থ্য), Goal 4 (মানসম্মত শিক্ষা), Goal 5 (নারী-পুরুষ সমতা) এবং Goal 8 (কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি) এই চারটি লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস করার ক্ষেত্রে এমডিজিতে অসাধারণ সাফল্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছেন। ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি-এর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।